জেনারেল ম্যানেজারের বাণী
‘‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’’
জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সম্মানিত গ্রাহক সদস্যবৃন্দ, আস্সালামু-আলাইকুম । সকলকে জানাই প্রানঢালা অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।
সম্মানিত সুধীবৃন্দ.
আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জনগনের জীবনযাত্রার মান-উন্নয়নে বিদ্যুৎ অপরিহার্য। শিল্প কারখানা, কৃষিকাজ, মানব সম্পদ উন্নয়ন, আধুনিক জীবনাযাত্রা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে শুরু করে উন্নয়নের সকল ক্ষত্রে চাই বিদ্যুৎ। দারিদ্র বিমোচন করে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বিদ্যুৎ একান্ত অপরিহার্য। এতদউদ্দেশ্যে জয়পুরহাট জেলার সমগ্র এলাকায় পর্যায়ক্রমে বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য ১৯৮৫ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অগ্রযাত্রা শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুতায়নের পর থেকে বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা দৃঢ়তার সাথে মোকাবিলা করে সমিতি শতভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এদেশের সমগ্র এলাকা শতভাগ বিদ্যুৎ সেবার আওতায় আনার নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্য আমরাও অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে নভেম্বর/২০২১ খ্রিঃ তারিখে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কর্তৃক গত ২২-০২-২০২০ খ্রিঃ তারিখে শুভ উদ্বোধন সম্পন্ন করে জয়পুরহাট জেলার ০৫ টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এনেছি।এ সাফল্য শুধু আমাদের একার নয় আপনাদেরও বটে।
সম্মানিত গ্রাহক সদস্যবৃন্দ.
‘‘ শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ’’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জুন/২০২২ খ্রিঃ পর্যন্ত ৪৯৬২ কিঃ মিঃ লাইন নির্মাণ ও বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে সমিতির অন্তর্ভূক্ত ৩২ টি ইউনিয়নের ৯২৩ টি গ্রামে বিভিন্ন শ্রেণীর ২৬৮০৫৭ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে ।
সম্মানীত সুধীমন্ডলী ও গ্রাহক সদস্যবৃন্দ.
বিদ্যুতায়ন একটি ব্যয় বহুল কার্যক্রম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এই ব্যয়বহুল কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য দাতাদেশ/সংস্থার উপর এখনও কিছুটা নির্ভরশীল। তা সত্ত্বেও জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সকল প্রতিকুলতাকে উপেক্ষা করে প্রতিটি উপজেলায় শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার মত অসম্ভব কে সম্ভব করেছে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে। আর তা সম্ভব হয়েছে সমিতি, উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সর্বসত্মরের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে। ওভার লোড জনিত সমস্যা সমাধান কল্পে সরকারী ও বিদেশী সংস্থার অর্থায়নে লাইন কনভারশন,ফিডারের সংখ্যা/ সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ উপকেন্দ্রের মোট ক্ষমতা ১২৫ এমভিএতে উন্নীত করা হয়েছে।
সম্মানিত গ্রাহক সদস্যবৃন্দ.
বিদ্যুতায়িত লাইনের আওতাধীন বিভিন্ন শ্রেণীর আবেদনকারীর আবেদন দ্রুত নিস্পত্তি করার ঐকান্তিক ইচ্ছা নিয়ে আমরা ‘‘আলোর ফেরীওয়ালা’’ এর ব্যানারে বিদ্যুৎ বিহীন গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করে মাত্র স্পট মিটারিং এর কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। স্বচছতা ও জবাবদিহিতায় সেবার মান বৃদ্ধির জন্য ‘‘উঠান বৈঠক’’ কার্যক্রম চালমান আছে। গত জানুয়ারী/২০১৯ খ্রিঃ মাস হতে জুন/২০২২ খ্রিঃ পর্যন্ত অত্র পবিসের ০৫ টি উপজেলায় আলোর ফেরিওয়ালার মাধ্যমে মোট ৭০০০ টির বেশি নতুন সংযোগ প্রদান করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া । শিল্প সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষে ০১ হতে ৫০ কিঃওঃ শিল্প লোডের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে দুই স্প্যান লাইন নির্মান প্রযোজ্য ক্ষেত্রে একটি পুশ পোল স্থাপন এবং ট্রান্সফরমার সরবরাহ করা হচেছ।বর্তমানে নতুন সংযোগের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার প্রয়োজন হচ্ছে না। তাই কোন দালাল বা প্রতারকের কাছে ধর্না না দিয়ে আপনার স্থাপনা সার্ভিস ড্রপের দুরুত্ব ১৩০ ফিট সীমার মধ্যে থাকলে ওয়্যারিং সম্পন্ন করে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অনলাইনে (www.rebpbs.com) আবেদন এর আহবান জানাচ্ছি। এছাড়া ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের স্বার্থে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য এনার্জি সেভিং বালব, এলইডি লাইট, টিউব লাইটে ম্যাগনেটিক ব্যালাষ্টের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ব্যালাষ্ট, যথাযথ মানের ক্যাপাসিটরসহ বৈদ্যুতিক মটর এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সরঞ্জাম ব্যবহার করা সহ দিনের আলো যথাযথ ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করছি।
সম্মানীত সুধীমন্ডলী ও গ্রাহক সদস্যবৃন্দ,
বিদ্যুৎ অবকাঠামো মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ন জাতীয় সম্পদ। জাতীয় সম্পদের কোন ক্ষতি সাধিত হলে গ্রাহক তথা জনগনই সবসময় দুর্ভোগে পড়েন। দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, অত্র জেলার কিছু কিছু এলাকায় সেচ মৌসুমে ট্রান্সফরমার ও মিটার চুরির প্রবনতা দেখা যায়- যা উদ্বেগ জনক । পাহারা জোরদার করে এ সকল কুচক্রী মহলকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি ।
সমিতি পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সম্মানিত গ্রাহক সদস্য, সমিতি পরিচালনা বোর্ড, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় প্রশাসন ও সংবাদ কর্মীসহ এলাকার জনগনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পরিশেষে সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনাসহ সমিতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
(মহম্মদ আব্দুল লতীফ )
জেনারেল ম্যনেজার
জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস